আমি কিংবদন্তির কথা বলছি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

এই আর্টিকেলে আমি কিংবদন্তির কথা বলছি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানব। 

আমি কিংবদন্তির কথা বলছি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

আমি কিংবদন্তির কথা বলছি  সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর 

আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনিই আমাকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শুনিয়েছেন। তিনি শিখিয়েছেন 'মায়ের চেয়ে দেশ বড়' আর 'আমরা মাথা নোয়াবার জাতি নই'। তিনি আজ আর বেঁচে নেই। তাই আমার প্রতিটি মুহূর্তে মনে হয়, 'চলে যাওয়া মানেই প্রস্থান নয়।' এ দেশের মানুষের আত্মত্যাগ ও আত্মবিসর্জনের ইতিহাসের, প্রসঙ্গে আমার বাবার দুটি উক্তি সত্যিই আমার জীবনে বীরোচিত সাহস যোগায়।


ক. তাঁর পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল কারণ তিনি কী ছিলেন? 

খ.কবি সূর্যকে হৃৎপিন্ডে ধরে রাখার কথা বলেছেন কেন?

গ.বাবার শেখানো ১ম কথাটি 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার কোন চরণটির ভাবার্থকে নির্দেশ করে তা লেখ।

ঘ .উদ্দীপকের ভাবার্থ 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতায় বর্ণিত পূর্বপুরুষের ইতিহাস তার প্রমাণ- মন্তব্যটি বিচার' কর। 


আমি কিংবদন্তির কথা বলছি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর


ক) তাঁর পিঠে, রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল কারণ তিনি ছিলেন ক্রীতদাস। 


খ) অধিকার আদায় ও রক্ষার জন্য কবি সূর্যকে হৃৎপিন্ডে ধরে রাখার কথা বলেছেন।


সাধারণভাবে সূর্য সব শক্তির উৎস। তাই এই সর্বশক্তির আধারকে হৃদয়ে ধারণ করতে পারলে মুক্তি অনিবার্য। কবির মতে এই সামর্থ্য অর্জনের একমাত্র উপায় কবিতা শোনা। কারণ কবির কাছে কবিতাই সত্য আর সত্যই শক্তি। যে শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ অধিকার আদায় ও রক্ষা করতে পারবে। আর এ কারণেই কবি সূর্যকে তৃৎপিন্ডে ধরে রাখার কথা বলেছেন।


গ) বাবার শেখানো ১ম কথাটি 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার 'ভালোবাস দিলে মা মরে যায়

যুদ্ধ আসে ভালোবেসে

মায়ের ছেলেরা চলে যায়' চরণটির ভাবার্থকে নির্দেশ করে। বাঙালি জাতি যুগ যুগ ধরে লড়াই সংগ্রাম করে টিকে আছে। বাংলার দামাল ছেলেরা দেশকে মায়ের মতোই ভালোবাসে। তাই দেশমাতার মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য বাংলার সাহসী সন্তানরা জীবন বাজি রেখে লড়াই করে।


উদ্দীপকের মুক্তিযোদ্ধা বাবা তাঁর ১ম শেখানো কথায় বলেন, 'মায়ের চেয়ে দেশ বড়।' দেশকে তিনি মায়ের সাথে তুলনা করেন এবং দেশমাতাকে রক্ষা করার জন্য সন্তানকে সাহসী ভূমিকার অবতীর্ণ হওয়ার কথা বোঝাতে চেয়েছেন। 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতায় কবি বলেন, 'ভালোবাসা দিলে মা মরে যায়' অর্থাৎ মা যদি তার সন্তানকে দেশমাতার বিপদের, দিনে স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখেন তাহলে বহিঃশত্রুর আক্রমণে দেশমাতার মৃত্যু ঘটবে। কবি আরও বলেন, 'যুদ্ধ আসে ভালোবেসে মায়ের ছেলেরা চলে যায়,' কারণ ছেলেরা দেশেরও সন্তান। মায়ের ছেলেরা শুধু মায়ের নয়, দেশমাতারও। আর এভাবেই বাবার শেখানো ১ম কথাটি 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার আলোচ্য চরণটির ভাবার্থকে নির্দেশ করে।


ঘ) "উদ্দীপকের ভাবার্থ 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতায় বর্ণিত পূর্বপুরুষের ইতিহাস তার প্রমাণ"- মন্তব্যটি যথার্থ। সংগ্রামী বাঙালি জাতির রয়েছে সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাস। লড়াই- সংগ্রাম করে তারা অধিকার আদায় করে। অন্যায়-অবিচারের কাছে

বাঙালি জাতি কখনও মাথানত করেনি। উদ্দীপকের ভাবার্থে একজন মুক্তিযোদ্ধার সাহসী ইতিহাসের প্রতিফলন ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধা বাবা শুনিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। মায়ের চেয়েও দেশমাতা বড় এবং বাঙালি জাতি নয়।

মুক্তিযোদ্ধা বাবা বেঁচে না থাকলেও বাঙালি জাতির আত্মত্যাগ ও আত্মবিসর্জনের ইতিহাস এবং বাবার উত্তি জীবনে চলার পথে সাহস জোগায়। 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতাতেও পূর্বপুরুষদের সাহসী ও বীরত্বপূর্ণ ইতিহাসের বর্ণনা রয়েছে। কবিতায় কবি তাঁর পূর্বপুরুষের সাহসী ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা বলেছেন। যে ইতিহাসে জড়িয়ে আছে দেশমাতার স্বাধীনতা রক্ষার্থে বাঙালি জাতির সাহসী ও সংগ্রামী মনোভাব। যে জাতির পূর্বপুরুষেরা কখনও অন্যায়ের কাছে মাথানত করেনি।

'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতায় বাংলার পূর্বপুরুষদের সাহসী ও

গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকের ভাবার্থেও মুক্তিযোদ্ধা বাবার মুখে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সাহসী উক্তি বর্ণিত হয়েছে, যা বাঙালি জাতির চলার পথে সাহস জোগায়। এদিক থেকে উদ্দীপকের ভাবার্থ কবিতায় বর্ণিত পূর্বপুরুষদের ইতিহাসের প্রমাণস্বরূপ। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।


আমি কিংবদন্তির কথা বলছি সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্ন নাম্বার-২


বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে পুরনো বিষয় হচ্ছে কবিতা, কবিতার প্রাণশক্তি অত্যাধিক।  শান্তিতে,সংগ্রামে, মানবিকতায় কবিতা পালন করে শব্দ সৈনিকের ভূমিকা। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে কবিতামোহের চেতনা প্রকাশ করেছিল।


ক. রক্তজবার মতো প্রতিরোধের উচ্চারণকে কী বলে?

খ. সশস্ত্র সুন্দরের অনিবার্য অভ্যুত্থান কবিতা- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার কোন বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে? আলোচনা কর। 

ঘ. 'শান্তিতে সংগ্রামে, মানবিকতায় কবিতা' উদ্দীপক ও 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর।


আমি কিংবদন্তির কথা বলছি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক) প্রতিরোধের উচ্চারণকে কবিতা বলে।

খ) 'সশস্ত্র সুন্দরের অনিবার্য অভ্যুত্থান কবিতা' বলতে মুক্তির লক্ষ্যে সশস্ত্র অভ্যুত্থানকে সুন্দর হিসেব উপস্থাপন করা হয়েছে।

মুক্তির জন্য চাই যুদ্ধ। চাই সশস্ত্র অভ্যুত্থান। যুদ্ধ মানুষের জীবনে মৃত্যু আর হাহাকার নিয়ে আসে, আবার নিয়ে আসে স্বাধীনতার সৌন্দর্য, মুক্তির আনন্দ। জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা সর্বাগ্রে প্রয়োজন। তাই কবির মতে, সশস্ত্র অভ্যুত্থান সুন্দর দৃশ্য, যা কবিতার মতোই প্রাণসন্ত্রারী ও শৈল্পিক। আলোচ্য লাইন দ্বারা এটাই বোঝানো হয়েছে।


গ) উদ্দীপকে 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার কবিতার ক্ষমতার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে।

শব্দের সাথে শব্দ, আর তার সাথে ভাবের মেলবন্ধনে রচিত হয় কবিতা। হৃদয় নিংড়ানো ভাব কবিতার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়। কবিতা কেবল ভাবেরই প্রকাশক নয়, অনুপ্রেরণা ও শক্তিরও উৎস।

উদ্দীপকে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে পুরনো বিষয় হচ্ছে কবিতা, কবিতার প্রাণশক্তি অত্যধিক। শান্তিতে, সংগ্রামে, মানবিকতায় কবিতা পালন করে শব্দ সৈনিকের ভূমিকা। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে কবিতা মোহের চেতনা প্রকাশ করেছিল। অপরদিকে 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতায় কবি বলেছেন যে, কবিতা হৃদয়ে শক্তি সঞ্চারিত করে। রক্তজবার মতো প্রতিরোধের উচ্চারণই কবিতা। কবির একান্ত প্রত্যাশিত মুক্তির প্রতীক হয়ে উপস্থাপিত হয় একটি বিশেষ শব্দবন্ধ কবিতা। কবি তাঁর পূর্বপুরুষের সাহসী ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে তার বক্তব্যকে এগিয়ে নিয়ে চলেন। কবিতা মানুষের হৃদয়ে যে শক্তি সঞ্চারিত করে, তার শক্তিতে বলীয়ান হয়ে কবিতার অনুপ্রেরণায় মানুষ যুদ্ধকেও জয় করেছে। উদ্দীপকেও 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতায় কবিতার ক্ষমতার দিকটিকে ইলিত করা হয়েছে। তাই উদ্দীপকে কবিতার এই দিকটিই বা বিষয়টিই প্রতিফলিত হয়েছে।


ঘ) 'শক্তিতে সংগ্রামে, মানবিকতায় কবিতা'- উদ্দীপক ও 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার আলোকে উক্তিটি নিচে বিশ্লেষণ করা হলো।

সত্য, সুন্দর আর হৃদয় ঐশ্বর্যের সম্মিলনে কবিতা বাণীরূপ পায়। কবিতা একই সাথে মনের সৌন্দর্যকে জাগিয়ে তোলে এবং প্রেরণার কথা বলে। কবিতার মধ্য দিয়ে উচ্চারিত হয় দেশপ্রেমের মধুর বাণী যা ব্যক্তির মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করে। উদ্দীপকে কবিতার জয়গান ধ্বনিত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে

পুরনো বিষয় হচ্ছে কবিতা, কবিতার প্রাণশক্তি অত্যধিক। শান্তিতে, সংগ্রামে, মানবিকতায় কবিতা পালন করে শব্দসৈনিকের ভূমিকা। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে কবিতা মোহের চেতনা প্রকাশ করেছিল। অপরদিকে 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতায় কবি বলেছেন যে, কবিতা মানুষের হৃদয়ে অসীম শক্তি সঞ্চারিত করে। এ শক্তিতে বলীয়ান হয়ে মানুষ কবিতার প্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়। কবিতার মধ্য দিয়ে উচ্চারিত হয় দেশপ্রেমের মধুর বাণী, যা মানুষকে দেশাত্মবোধে অনুপ্রাণিত করে যুদ্ধের মতো কঠিন বাস্তবতাকেও জয় করতে শিখিয়েছে। কবিতার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশিত হয়। তাই কবিতা হয়ে ওঠে প্রতিবাদী মানুষের ভাব প্রকাশের ভাষা। বাঙালির বিভিন্ন বিপ্লব ও সংগ্রামে কবিতা দিয়েছে শক্তি।

মানুষের জীবনের সুখ, দুঃখ, মানবিকতা ও প্রতিবাদী কণ্ঠ কবিতায় প্রকাশিত হয়, যা মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। আর কখনোবা মানুষকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, বিপ্লব ও সংগ্রামে কবিতা দিয়েছে প্রতিবাদের শক্তি। আর এ কথাটিই 'শান্তিতে সংগ্রামে, মানবিকতায় কবিতা উদ্দীপক ও 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতায় খুব গুরুত্বের সাথে প্রতিফলিত হয়েছে।



আমি কিংবদন্তির কথা বলছি সৃজনশীল  প্রশ্নের উত্তর 

প্রশ্ন নাম্বার-৩

কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশের এক মেধাবী ছেলে অমিড। বৃত্তি পেয়ে কানাডা পড়তে গিয়ে সেখানেই ভালো চাকরি পায় অমিত। দশ যছর পর যাবার মৃত্যু সংবাদ শুনে দেশে আসে সে। নিজের গ্রাম, আত্মীয়- পরিজন, ঐতিহ্য আর শিকড় তাকে যেন নতুন করে জীবনকে ভাবতে শেখায়। অমিত দেশে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে নতুন করে নিজের অস্থিত্ব ও স্বাধীনতার স্বাদ পায়।


ক) দিগন্তের অধিকার থেকে কে বঞ্চিত হবে?

খ)'ভালোবাসা দিলে মা মরে যায়'- ব্যাখ্যা কর।

গ) উদ্দীপকের অমিতের দেশে ফিরে আসার চেতনা 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার কোন ভাবকে ধারণ করে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ) "ঐতিহ্য সচেতনতা ও দেশপ্রেমই উদ্দীপক ও 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার মূল বক্তব্য- উক্তিটি মূল্যায়ন কর। 



আমি কিংবদন্তির কথা বলছি সৃজনশীল  প্রশ্নের উত্তর 


ক) যে কবিতা শুনতে জানে না সে দিগন্তের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। 

খ) ভালোবাসা দিলে মা মরে আায়' বলতে কবি পরিবারকে ভালোবেসে পারিবারিক গণ্ডিতে আবন্ধ থাকলে কবির মাতৃসম স্বদেশের ওপর যে নির্মমতা নেমে আসে সেই বিষয়টিকে বুঝিয়েছেন। মা ও মাতৃভূমি একসূত্রে গাঁথা। মাকে ভালোবেসে পরিবারের গণ্ডিতে আবস্থ থাকলে দেশরক্ষা হয় না। দেশকে শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে হলে প্রিয়জনের প্রতি স্নেহ-মায়া, ভালোবাসার বন্ধন ছিন্ন করে শত্রুর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়। তা না হলে দেশমাতাকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করা যায় না। সে মৃত্যুপথের যাত্রী হয়ে যায়।


গ) উদ্দীপকের অমিতের দেশে ফিরে আসার চেতনা 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার শিকড়সন্ধানী মানুষের সর্বাঙ্গীণ মুক্তি

ও স্বদেশপ্রেমের ভাবকে ধারণ করে।

জন্মভূমি মানুষের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রতিটি মানুষ আপন আপন জন্মভূমির কোলে জন্মলাভ করে। তার ধুলোমাটিতে, আলোবাতাসে সে বড় হয়। তার প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপুষ্ট হয় মানুষের জীবন। তাই স্বদেশকে ভালোবাসা, দেশ ও জাতির উন্নতির জন্য কাজ করা প্রতিটি মানুষের বিশেষ কর্তব্য। উদ্দীপকে স্বদেশের অনুরাগের বিষয়টি নির্দেশ করা হয়েছে। এখানে বিদেশে পড়ালেখা শেষে ভালো চাকরি পাওয়ার পরও স্বদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসায় অমিত দেশে ফিরে এসেছে। মানুষের জীবনে স্বদেশের অবদান, এত বিশাল যে, স্বদেশভূমি তার কাছে অন্যতম প্রিয় বলে গণ্য হয়।' তাকে সে ভালো, না বেসে পারে না। অমিতের স্বদেশপ্রীতির চেতনা 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতায় প্রতিফলিত কবির স্বদেশপ্রীতির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এখানে দেশকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করার তেজদীপ্ত চেতনার প্রকাশ লক্ষ করা যায়। যা উদ্দীপকে স্বদেশের টানে অমিতের দেশে ফিরে আসার চেতনাকে নির্দেশ করে। কারণ উভয়ক্ষেত্রে স্বদেশের প্রতি গভীর অনুরাগ ও ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই শিকড় সন্ধান করা হয়েছে পরম যত্নে।


 ঘ) "ঐতিহ্য সচেতনতা ও দেশপ্রেমই উদ্দীপক ও 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার মূল বক্তব্য- মন্তব্যটি যথার্থ।

দেশপ্রেমিকের চিন্তা ও কর্মে স্বদেশের মানুষের জন্য গভীর মমতা এবং তাদের অগ্রগতি ও কল্যাণের দিকটি প্রকাশ পায়। একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক দেশের জন্য ব্যক্তিগত স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে থাকেন। দেশের স্বাধীনতা ও সম্মান রক্ষার জন্য জীবন উৎসর্গ করতেও দেশপ্রেমিকরা পিছ পা হন না।

উদ্দীপকে স্বদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসার কারণে অনেক সুযোগ সুবিধা ও বিলাসী জীবন ছেড়ে মানুষ কীভাবে স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসে তা তুলে ধরা হয়েছে। এখানে অমিত একজন স্বদেশ অনুরাগী ব্যক্তি হিসেবে পরিচা হয়ত করেছে। জন্মভূমির প্রতি তার যে অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে তা 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতায় প্রতিফলিত স্বদেশানুরাগের সলো সাদৃশ্যপূর্ণ। এ কবিতায় স্বদেশ ও স্বজাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য কবি গভীর মমতায় তুলে ধরেছেন। এখানে প্রিয়জনের প্রতি গভীর মমতা ও স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে। 'আমি কিংবদন্তির কথা বলছি' কবিতার প্রেক্ষাপটে বাঙালি সংস্কৃতির

হাজার বছরের ইতিহাসকে স্মরণ করা হয়েছে। সেই ইতিহাস অনেক কষ্টের, সুখের, আনন্দ-বেদনার, প্রতিবাদ-প্রতিরোধের, সংগ্রামী চেতনার। এখানে প্রতিফলিত হয়েছে বাংলার ভূমিজীবী অনার্য ক্রীতদাসের জীবনযুদ্ধের কথা, তাদের মুক্তির কথা, তাদের উত্তরসূরিদের চেতনাদীপ্ত হয়ে ওঠা এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করে জয়লাভের বিষয়াদি। যা পরবর্তীতে বাঙালি জাতিকে তাদের মুক্তির পথ চিনে নিতে সহায়তা করেছে এবং স্বাধীনতা অর্জনে অনুপ্রাণিত করেছে। উদ্দীপকের তারুণ্যদীপ্ত অমিতদের জন্যই তা সম্ভব হয়েছে। তারাই হয়েছে ইতিহাসের কিংবদন্তির মহান নায়ক। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

 




Please Share this On:

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url